রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ২১ ফেব্রæয়ারি ২০২০:
আজ অমর একুশে, ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে এই দিনটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়। দিবসের প্রথম প্রহর রাত ১২:০১ মিনিটে উপাচার্য প্রফেসর এম আব্দুস সোবহান, উপ-উপাচার্য প্রফেসর আনন্দ কুমার সাহা, উপ-উপাচার্য প্রফেসর চৌধুরী মো. জাকারিয়া, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান আল-আরিফসহ প্রশাসনের ঊর্ধতন কর্মকর্তাগণ উপাচার্য ভবন থেকে র্যালি করে এসে বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। সেখানে অন্যদের মধ্যে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর এম এ বারী, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক প্রফেসর প্রভাষ কুমার কর্মকার, ছাত্র-উপদেষ্টা প্রফেসর লায়লা আরজুমান বানু, প্রক্টর প্রফেসর মো. লুৎফর রহমান, অনুষদ অধিকর্তা, ইনস্টিটিউটসমূহের পরিচালক, হলসমূহের প্রাধ্যক্ষবৃন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। রাবি উপাচার্যের শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের পর রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডা. মাসুম হাবিব ও রেজিস্ট্রার প্রফেসর ডা. আনোয়ারুল কাদেরের নেতৃত্বে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
ভোরে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে প্রশাসন ভবনসহ অন্যান্য ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতভাবে উত্তোলন করা হয়। সকাল ৭টা থেকে বিভিন্ন আবাসিক হল ও বিভাগ, পেশাজীবী সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান, রাবি শিক্ষক সমিতি, রাবি স্কুল ও শেখ রাসেল মডেল স্কুল প্রভাতফেরীসহ শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। মহিলা ক্লাবের সভানেত্রী উপাচার্য পতœী মনোয়ারা সোবহানের নেতৃত্বে উপ-উপাচার্য পতœী রমা পোদ্দার ও উপ-উপাচার্য পতœী শরিফা জাকারিয়াসহ ক্লাবের সদস্যবৃন্দ শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ।
সকাল ১০টায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবন চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় চিত্রাংকন ও বাংলা হস্তলিপি প্রতিযোগিতা। এর উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর এম আব্দুস সোবহান ও পুরস্কার প্রদান করেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর আনন্দ কুমার সাহা। বাদ জুম্মা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় কোরআনখানি ও মোনাজাত।
দিবসের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল সকাল ৮:৩০ মিনিটে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনের পশ্চিম চত্বরে রাবি অফিসার সমিতির, সকাল ১০:৩০ মিনিটে নিজ নিজ কার্যালয়ে সহায়ক কর্মচারী সমিতি, পরিবহন টেকনিক্যাল কর্মচারী সমিতি ও সাধারণ কর্মচারী ইউনিয়নের এবং কেন্দ্রীয় কাফেটেরিয়ায় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ রাবি ইউনিট কমান্ডের আলোচনা সভা, সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা এবং কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দর্শকদের জন্য খোলা ছিল।
প্রফেসর প্রভাষ কুমার কর্মকার
প্রশাসক