রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ১৪ এপ্রিল ২০২৩:
আজ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বাংলা নববর্ষে বৈশাখী উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সকাল ১০টায় চারুকলা চত্বরে জাতীয় সঙ্গীত ও ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’ গানের মধ্য দিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরু হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. অবায়দুর রহমান প্রামানিক। এই আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন চারুকলা অনুষদের অধিকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী।

বৈশাখী উৎসব উদ্বোধন করে উপাচার্য তাঁর বক্তৃতায় বলেন, বাঙালি সংস্কৃতি অসাম্প্রদায়িক সংস্কৃতি। পহেলা বৈশাখ বাঙালি নববর্ষ। বৈশাখ বাঙালির জীবনে কী গ্রামে, কী শহরে নিয়ে আসে নতুনের সমারহ। স্বাভাবিক জীবন যাত্রায়ও থাকে এক নতুনের আগমন ধ্বনি ও প্রাণচাঞ্চল্য। বাঙালি সংস্কৃতিতে নানা সময়ে নানাভাবে অন্য সংস্কৃতির মিশ্রণ ঘটেছে। কিন্তু নব বঙ্গাব্দ একান্তভাবে বাঙালির নববর্ষ। বাঙালি সংস্কৃতির সাথে এই নববর্ষের সম্পর্ক চির অবিচ্ছেদ্য। দুঃখ-গøানি, অতীতের ব্যর্থতা পেছনে ফেলে সমৃদ্ধ আগামীর দিকে এগিয়ে যাওয়ার শপথের দিনও পহেলা বৈশাখ। দেশ ও জাতির কল্যাণে সবাই একতাবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যাওয়ার দিনও এই পহেলা বৈশাখ। সেই প্রত্যয়ে সকলকে একতাবদ্ধ হতে তিনি আহ্বানন জানান।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, আমরা নব বৈশাখের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সকল ঘৃণা-বিদ্বেষ, কুসংস্কার ভুলে বাঙালি চেতনায় উদ্বুদ্ধ হই এবং দেশ গড়ার কাজে সবাই ইতিবাচক ভূমিকা পালন করি, নববর্ষে এই হোক আমাদের প্রত্যয়।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর তাঁর বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণ এবং তাঁর সুযোগ্য উত্তরসূরি শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে সবাইকে এই বৈশাখে নিজ নিজ ক্ষেত্রে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. আবদুস সালাম, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম সাউদ, প্রক্টর অধ্যাপক মো. আসাবুল হক, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে, বিশিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষার্থী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পরে এক মঙ্গল শোভাযাত্রা চারুকলা চত্বর থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন।

প্রফেসর প্রদীপ কুমার পাণ্ডে
প্রশাসক