রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ৮ মে ২০২৩:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আজ মঙ্গলবার থেকে কৃত্রিম প্রজনন ও পুনরুৎপাদন ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এদিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নারিকেলবাড়িয়া ক্যাম্পাসে ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদ ও ব্র্যাকের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার। এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর, সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া ও ব্র্যাকের এআই এন্টারপ্রাইজের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ড. ফারুকুল ইসলাম।

ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদের অধিকর্তা অধ্যাপক মো. জালাল উদ্দিন সরদারের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে ব্র্যাকের এআই এন্টারপ্রাইজ ম্যানেজার ডা. মো. মতিউর রহমান ও ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদের অধ্যাপক মো. আখতারুল ইসলাম স্বাগত বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে দুইজন প্রশিক্ষণার্থীও তাদের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

প্রশিক্ষণ উদ্বোধন করে উপাচার্য তাঁর বক্তৃতায় বলেন, বাংলাদেশের মোট জাতীয় উৎপাদনে কৃষির অবদান ১৬%। কিন্তু ভেটেরিনারির অবদান মাত্র ২%। এই অবদানের হার কীভাবে বাড়ানো যায় সে লক্ষ্যে আমাদের প্রয়াসী হতে হবে। তবেই আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা কায়েমের লক্ষে সফল হতে পারবো। এছাড়াও তিনি প্রাণিজ সম্পদের পরিমানগত বৃদ্ধির পাশাপাশি গুণগতমান বজায় রাখার প্রয়োজনীয় পদ্ধতি অনুসরণের আহ্বান জানান।
উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, বর্তমান সময়ে কৃষির বিভিন্ন ক্ষেত্রে উৎপাদন প্রভূত বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু এই উৎপাদনে গুণগত মান যাতে রক্ষিত হয় সেজন্য নিরন্তর গবেষণা ও মাঠপর্যায়ে কর্মীদের প্রশিক্ষণ একান্ত প্রয়োজন। সে লক্ষ্যে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষির অবদান গুরুত্বপূর্ণ। কৃষিতে শস্য উৎপাদনের পাশাপাশি অন্যতম ক্ষেত্র হচ্ছে পশুপালন। প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ করতে উন্নত জাত উদ্ভোবনের বিকল্প নাই। সেই ক্ষেত্রে যথাযথ মান রক্ষা করে কৃত্রিম প্রজনন ও পুনরুৎপাদন ব্যবস্থাপনা একান্ত প্রয়োজন। এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সে চাহিদা পূরণে এক বিরাট পদক্ষেপ বলে তিনি উল্লেখ করেন।

প্রফেসর প্রদীপ কুমার পাণ্ডে
প্রশাসক, জনসংযোগ দপ্তর