রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ২ জুন ২০২৪:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আজ রবিবার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সকাল ৯:৩০ মিনিটে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা ২০২৩-২০২৪ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (বিমক) সদস্য অধ্যাপক মো. সাজ্জাদ হোসেন এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন রাবি উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. অবায়দুর রহমান প্রামানিক ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান। উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ও ইনোভেশন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. তারিকুল হাসান কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন।
কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে বিমক উপ-পরিচালক ও ইনোভেশন ফোকাল পয়েন্ট দীজেন্দ্র চন্দ্র দাস ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্ম-পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তা’, ‘ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্ম-পরিকল্পনা ২০২৩-২০২৪ বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন নির্দেশিকা’ ও ‘ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্ম-পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদনসমূহ প্রস্তুতের সময় লক্ষ্যণীয় বিষয়সমূহ’ শীর্ষক বিষয়ে বক্তৃতা প্রদান করেন।
অপর রিসোর্স পারসন বিমক রিসার্চ সাপোর্ট এন্ড পাবলিকেশন ডিভিশনের অতিরিক্ত পরিচালক মো. শাহীন সিরাজ ‘ভিশন ২০৪১ ও উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট বাংলাদেশ রূপরেখা’ ও ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ভূমিকা’ শীর্ষক বিষয়ে বক্তৃতা প্রদান করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শিল্প বিপ্লবকালে আমরা অনেক অনেক পিছিয়ে ছিলাম। কিন্তু চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এইকালে আমরা অনেকটা একসাথে চলছি। আমাদের মানব সম্পদ আছে। কিন্তু এই সম্পদকে শক্তিতে রূপান্তরের জন্য প্রয়োজন মানবিক মূল্যবোধে উজ্জীবিত আধুনিক ও অসাম্প্রদায়িক দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ নেতৃত্ব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে ও পরিকল্পনায় স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্যে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঠিকই বুঝেছিলেন দেশে উন্নয়নের জন্য উচ্চশিক্ষার বিকল্প নেই। তাই তিনি ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর প্রথম বিজয় দিবস উদযাপনের দিন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। শিক্ষা ও গবেষণায় আমাদের গৌরবের ইতিহাস রয়েছে। সময়ের সাথে সাথে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি জ্ঞান-বিজ্ঞান, গবেষণা ও উদ্ভাবনের সূতিকাগারে পরিণত হয়েছে। তবে গবেষণা, উদ্ভাবন ও তার সফল বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন সুযোগ্য নেতৃত্ব। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় দেশে উচ্চশিক্ষার বিকাশ এবং গবেষণা ও উদ্ভাবনে জাতিকে নেতৃত্ব দিবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সভাপতির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) বলেন, বর্তমান বিশেষ মর্যাদার স্থান করে নিতে হলে উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি গবেষণা ও উদ্ভাবনে মনোনিবেশ করা প্রয়োজন। সে লক্ষ্যে সরকারের গৃহীত কর্মসূচি বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা অপরিহার্য। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশ ও জাতির উন্নয়নের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতীক। তিনি যে অগ্রযাত্রার সূচনা করেছেন তা ব্যাহত হতে দেয়া যাবে না। সেই লক্ষ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে নেতৃত্ব দিতে হবে কারণ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে গেলে দেশ এগিয়ে যাবে। সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশে প্রয়োজন প্রনোদনা।
পরে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে অতিথিবৃন্দকে স্মারক উপহার প্রদান করা হয়। এর আগে বিমক সদস্য অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন ক্যাম্পাসে পৌঁছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
প্রফেসর প্রণব কুমার পান্ডে, পিএইচডি
প্রশাসক, জনসংযোগ দপ্তর