রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ফিশারীজ বিভাগে আজ রবিবার সামুদ্রিক ঝিনুক বিষয়ে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সকাল ১১টায় ফিশারীজ বিভাগের কর্মশালা কক্ষে ‘ Development of fresh and value-added products with market linkage for popularizing consumption and commercialization of marine bivalves’ শীর্ষক এই কর্মশালার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি উপাচার্য প্রফেসর সালেহ্ হাসান নকীব। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের সাসটেইনেবল কোস্টাল ও মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প পরিচালক মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী এবং সম্মানিত অতিথি ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তর, রাজশাহীর উপ-পরিচালক মো. আব্দুল ওয়াহেদ মন্ডল। রাবি ফিশারীজ বিভাগের সভাপতি প্রফেসর এ বি এম মহসিনের সভাপতিত্বে এই কর্মশালায় প্রকল্পের গুরুত্ব ও উদ্দেশ্যে উপস্থাপন করেন মুখ্য গবেষক প্রফেসর মো. মোস্তাফিজুর রহমান মন্ডল ও প্রকল্পের বিস্তারিত উপস্থাপনা প্রদান করেন সহ-গবেষক প্রফেসর মো. তারিকুল ইসলাম।
কর্মশালায় বলা হয় যে, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে মৎস্য খাতের ভূমিকা অপরিসীম। সুনীল অর্থনীতি ( Blue Economy) বাংলাদেশের উন্নয়নে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। বাংলাদেশের সমুদ্রে বিভিন্ন মৎস্য প্রজাতি সুনীল অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সামুদ্রিক ঝিনুক বা বাইভাল্ব একটি গুরুত্বপূর্ণ মৎস্য সম্পদ যা উন্নত বিশ্বে উপাদেয় খাদ্য হিসেবে প্রচলিত। বাংলাদেশে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর কাছে এটি জনপ্রিয় খাদ্য হলেও সারা দেশে তেমন প্রচলিত নয়। এই সামুদ্রিক বাইভাল্বকে খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করলে আমাদের পুষ্টি চাহিদা পূরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই লক্ষ্যে ফ্রেশ ও ভ্যালুএডেড প্রোডাক্ট তৈরির মাধ্যমে সামুদ্রিক বাইবাল্বকে জনপ্রিয় খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্তিকরণ ও বাণিজ্যিকীকরণে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারীজ বিভাগের দুইজন গবেষক ও চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গবেষক সাসটেইনেবল কোস্টাল ও মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের আওতায় কাজ করে যাচ্ছেন।

কর্মশালা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অনুষদ অধিকর্তা, বিভাগীয় সভাপতি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ ও মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রফেসর মো. আখতার হোসেন মজুমদার
প্রশাসক, জনসংযোগ দপ্তর