রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ১৮ অক্টোবর ২০২৩:
আজ ১৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিবস, ‘শেখ রাসেল দিবস’। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদযাপন করা হয়।

এদিন সকাল ৮:৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবাস বাংলাদেশ চত্বর থেকে এক আনন্দর‌্যালি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে শেখ রাসেল মডেল স্কুলে যায়। পরবর্তীতে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মোনাজাত ও স্কুল প্রাঙ্গণে ফুল গাছের চারা রোপণ করেন। এসময় অন্যদের মধ্যে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. আবদুস সালামসহ শেখ রাসেল মডেল স্কুলের অধ্যক্ষ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এরপর স্কুল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর ও রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. আবদুস সালাম। স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস এই আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপাচার্য বলেন, শেখ রাসেল ছিলো এক আদর্শ পিতার সুযোগ্য সন্তান। তিনি বেঁচে থাকলে আজ হয়তো জাতির নেতৃত্ব দিতেন, দেশ ও জাতির উন্নয়ন-অগ্রযাত্রায় নিজেকে নিবেদিত করতেন। জাতির দুর্ভাগ্য ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের কালভোরে ১০ বছরের শিশু রাসেলকেও নির্মমভাবে হত্যা করে। ঘাতকদের লক্ষ্য ছিল জাতিকে বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকারী শুন্য করার। কিন্তু তারা সফল হয়নি। শেখ রাসেল আজ শিশুদের প্রতীক ও এক অম্লান সত্ত্বা হিসেবে বেঁচে আছে।

অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) বলেন, শেখ রাসেল ছিল সদা প্রাণচঞ্চল। ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডে তাকে আমরা হারিয়েছি। শেখ রাসেল আজ আর আমাদের মধ্যে নেই, কিন্তু আছে তার স্মৃতি, সদা হাস্যেজ্জ্বল মুখখানি। রাসেলের চেতনায় শিশুরা যেন গড়ে উঠে আমাদের প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরের শিশুরা বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) বলেন, শেখ রাসেল বাংলাদেশের শিশুদের এক অম্লান আদর্শ। সে ছিল সদা দীপ্তিময়, নির্মল। সে বেঁচে থাকলে আজ হয়তো জাতিকে নেতৃত্ব দিতো কিন্তু ১৫ আগস্টের ঘাতকরা তাকেও রেহাই দেয়নি। তাকে হত্যা করে ভবিষ্যত প্রজন্মকে নেতৃত্বশুন্য করতে চেয়েছিল। জাতি ঠিকই ঘুরে দাঁড়িয়েছে কিন্তু শেখ রাসেলের অনুপস্থিতির শুন্যতা রয়ে গেছে। তিনি শিশুদের শেখ রাসেল সম্পর্কে পড়াশোনা করারও পরামর্শ দেন।

অনুষ্ঠানে উপাচার্য শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত রচনা, চিত্রাঙ্কন ও বাক্য লেখা প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান ও স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে কেক কাটেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।

অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে
প্রশাসক, জনসংযোগ দপ্তর