রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ২৫ এপ্রিল ২০২৪:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের দ্বিশতজন্মবর্ষ উপলক্ষে এক আন্তর্জাতিক সেমিনার আজ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সকাল ৯:৩০ মিনিটে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে বাংলা বিভাগ ও বাংলা গবেষণা সংসদ আয়োজিত দিনব্যাপী এই সেমিনার উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম। বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক শহীদ ইকবাল এর সভাপতিত্বে সেমিনার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সূচক বক্তৃতা প্রদান করেন রবীন্দ্রভারতী বিশ^বিদ্যালয়ের বিদ্যাসাগর অধ্যাপক হিমবন্ত বন্দোপাধ্যায়।
সেমিনারে প্রধান অতিথি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত ঊনবিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাঙালি কবি, নাট্যকার ও প্রহসন রচয়িতা। তাঁকে বাংলার  নবজাগরণ সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা বলে গণ্য করা হয়। ঐতিহ্যের অনুবর্তিতা অমান্য করে নব্যরীতি প্রবর্তনের জন্য তাঁকে আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম বিদ্রোহী কবি হিসেবেও অভিহিত করা হয়। পাশ্চাত্য সাহিত্যের প্রতি দুর্নিবার আকর্ষণে তিনি ইংরেজি সাহিত্য রচনায় মনোনিবেশ করেন, তবে জীবনের দ্বিতীয় পর্বে তিনি মাতৃভাষায় নাটক, প্রহসন ও কাব্য রচনা করেন।

মাইকেলের ‘বঙ্গভূমির প্রতি’ ও ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতা থেকে আমরা তাঁর স্বদেশপ্রেম ও মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন পাই। এই সেমিনারে উপস্থাপিত প্রবন্ধ ও আলোচনা থেকে মাইকেল মধুসূদনের জীবন ও কর্মের নানা দিক, বিশেষ করে তাঁর সৃজন প্রতিভা সম্পর্কে জানা যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সেমিনার উদ্বোধন অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিভাগের অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান খান।
সেমিনারে ৩টি একাডেমিক অধিবেশনের প্রথম অধিবেশনে অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হক সভাপতিত্ব এবং অধ্যাপক বরেন্দু মণ্ডল, ড. তানিয়া তহমিনা সরকার ও সুপ্রিয়া রানী দাস প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। দ্বিতীয় অধিবেশনে অধ্যাপক হিমবন্ত বন্দোপাধ্যায় সভাপতিত্ব এবং অধ্যাপক সৌভিক রেজা, ড. সুমাইয়া খানম ও শাকিলা বেগম প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তৃতীয় অধিবেশনে অধ্যাপক জুলফিকার মতিন সভাপতিত্ব এবং অধ্যাপক শক্তিসাধন মুখোপাধ্যায় ও গৌতম গোস্বামী প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

সেমিনারের সমাপনী পর্বে রাবির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল খালেক সমাপনী বক্তৃতা প্রদান করেন। এতে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলা গবেষণা সংসদের প্রাক্তন সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার ফরহাদ হোসেন।

অধ্যাপক প্রণব কুমার পান্ডে
প্রশাসক, জনসংযোগ দপ্তর