বিশেষ নির্দেশনা:
১. গুজবে কান দিবেন না। সঠিক ও নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে তথ্য জানুন।
২. আতংকিত হওয়ার দরকার নেই, কিন্তু সচেতন হোন। সংবাদের শুধু খারাপ তথ্য গ্রহণ না কওে ভালো দিকটিও খুজে দেখুন।
৩. সংবাদ দেখলে যাদের দুঃচিন্তা বাড়ে তারা সারাক্ষণ টিভিতে সংবাদ দেখা থেকে বিরত থাকুন।
৪. যাদের কাউন্সেলিং চলছিল তারা কাউন্সেলিং এর শেখানো অভ্যাসগুলো চালু রাখুন
৫. মাইন্ডফুলনেস ও রিল্যাক্সেশন কৌশলগুলো নিয়মিত অনুশীলন করুন
৬. নিজে নিরাপদ থাকুন এবং সামাজিক সচেতনতায় কাজ করুন
৭. নিজেকে সময় দেওয়া, সেল্ফ কেয়ার, নিজেকে নিয়ে ভাবার সময় আমরা সব সময় পাইনা। এই সুযোগে নিজেকে সময় দিন। নিজের চাওয়া পাওয়া, নিজের জীবনের অর্থ, ভবিষ্যত ক্যারিয়ার প্লান সহ বিভিন্ন বিযয়ে গঠনমূলক চিন্তা-ভাবনা করতে পারেন।
৮. নেতিবাচক চিন্তা পরিহার করে ইতিবাচক চিন্তা করুন। প্রত্যেকটি জিনিসের ভালো ও খারাপ দিকে রয়েছে। তাই দুঃসময়েও কী কী ভালো
রয়েছে তা বের করার চেষ্টা করুন।
৯. আপনার ভেতরের সৃজনশীলতা বের করে নিয়ে আসুন। ঘরে বসেই নতুন কী কী করা যায় তা ভাবুন এবং এরমধ্যে থেকে দু-একটি শুরু
করুন। প্রথমেই গুনগতমান নিয়ে চিন্তা করবেন না; আস্তে আস্তে তা বাড়াতে থাকুন।
১০. পড়াশোনা করার চেষ্টা করুন। অনলাইনে ক্লাস বা আলোচনা করতে পারেন। আপনার বিভাগের আগ্রহী শিক্ষক/ শিক্ষিকার সাথে যোগাযোগ
করতে পারেন। বন্ধুদের অনলাইন গ্রæপেও আলোচনা করতে পারেন।
১১. পেন্ডিং কাজগুলো করে ফেলুন। তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সাথে সাথে চাপে পড়বেন না। যেমন: এ্যাসাইনমেন্ট, ল্যাবনোট, ফিল্ডওয়ার্ক/
প্রজেক্ট ওয়ার্ক, প্রোগ্রামিং কোড/ সলভ
১২. যাদের ঔষধ চলমান আছে তারা ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ চালু রাখুন। যাদের অতিরিক্ত খারাপ লাগা, দুঃশ্চিন্তা বা আত্ম-হত্যার
মত চিন্তা মাথায় আসছে তারা অবশ্যই নিকটস্থ সাইকিয়াট্রিস্ট বা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যোগাযোগ করে চিকিৎসা গ্রহণ করুন।